পটুয়াখালীর গলাচিপায় অবরোধ শেষে গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় মাছের দাম কমতে শুরু করেছে। মৎস্যজীবীরা বলছেন, সমুদ্রে মাছ ধরা পড়া অব্যাহত থাকলে অবরোধে জেলেদের ঋণের বোঝা কমার সাথে সাথে দেশের মানুষ কম দামে ইলিশ পাবেন। আর সমুদ্রে মাছ বাড়াটা গত ৬৫ দিনের অবরোধেরই সুফল বলে দাবি উপজেলা মৎস্য অফিসের। সমুদ্র থেকে মাছ ভর্তি শত শত ট্রলার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আসছে পানপট্টি ও গলাচিপা খেয়া ঘাটে। প্রতিটি ট্রলার থেকে পানপট্টি ও গলাচিপা খেয়া ঘাটে মণকে মণ ইলিশ নামছে। আর সমুদ্রে গিয়েই রুপালী ইলিশের দেখা পেয়ে এখন অবরোধের সময়ের ঋণের বোঝা কমানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা। এদিকে দুমাস পাঁচ দিন পর আবারো জেলে, পাইকার, শ্রমিক ও আড়ৎদারদের হাঁকডাকে মুখরিত গলাচিপা ও পানপট্টি লঞ্চঘাটের টল ঘরগুলো। মাছ বেচাকেনা ও কেনা মাছে বরফ দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাতে ব্যস্ত সবাই। আবারো প্রাণ ফিরে এসেছে মাছের আড়ৎ সহ পাইকারী বাজারগুলোতে। মাছ বাড়তে থাকায় কমতে শুরু করেছে মাছের দাম। মাছ ধরা পড়ার পরিমাণ আরও বাড়লে দাম আরও কমবে বলে মনে করেন মৎস্যজীবীরা। গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করায় মাছ বাড়তেই থাকবে। আর বাজারে মাছ বাড়লে বাড়বে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। সাধারণ মানুষও অল্প দামে ক্রয় করতে পারবে ইলিশ মাছ। গত ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালে নদী থেকে ধরা ইলিশের কেজি ৯শ থেকে ১১শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন বাজারে সামুদ্রিক ইলিশ আসায় ৭শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।